Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2013

ভিক্ষুক, দারওয়ান ও আশ্রম

একদিন এক ভিক্ষুক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার ভীষণ ক্ষুধা পেল । সে কিছুদূর যাবার পর বিশাল গেটওয়ালা একটা বাড়ি দেখতে পেল । মনে মনে খুব খুশী হল এই ভেবে যে , বড়োলোকের বাড়ী আজকে একটু মজার কিছু খেতে পারবে । ভাবতে ভাবতে সে বাড়ির দারওয়ানকে বলল, সে অনেক ক্ষুধার্ত কিছু খেতে দিবে? দারওয়ান বলল, ঠিক আছে তুমি বাহিরে বস। আমি মেমসাবকে জিজ্ঞাসা করে আসি । ভিক্ষুক বলল ঠিক আছে ভাই । যখন দারওয়ান ভেতরে গেল, ভিক্ষুক দেখল একটা বড় সুন্দর খাঁচার ভেতর খুব সুন্দর একটা কুকুর । তার সামনে একটা প্লেটে অনেক মাংস দিয়ে রাখা হয়েছে। সে দেখে মনে মনে আরও খুশী হল । ভিক্ষুক মনে মনে ভাবল, কুকুরকে এতো মাংস দিছে তাহলে তো আমাকেও অনেক ভালো খাবার দিবে। এদিকে দারওয়ান যখন গৃহকর্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষুককে খাবার দিবার কথা বলল, তখন গৃহকর্ত্রী তার উপর রেগে গিয়ে বলল, খাবার কি আকাশ থেকে পড়ে যে চাইলেই খাবার দিতে হবে ? তোর কাজ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা, তুই এই খানে কেন এলি ? আর যদি এই ভাবে কাজ ফেলে আসবি তাহলে বিদায় করে দেব । সামান্য একটু খাবার চাইতে এসে এত কথা শুনতে হল তাকে। দারোয়ান মনে মনে খুব কষ্ট পেল । এই ভেবে আরও দুঃখ হচ্ছিল তার, ভিক্ষুকটা ক্ষু

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

১০ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন।  ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের পর 'পদ্মা', 'পলাশ' এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর একটি গানবোট 'পানভেল' খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌ-ঘাটিঁ পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ-এ প্রবেশ করে। ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে গানবোটগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে এলে অনেক উচুঁতে তিনটি জঙ্গি বিমানকে উড়তে দেখা যায়। শ ত্রুর বিমান অনুধাবন করে পদ্মা ও পলাশ থেকে গুলি করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযানের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ ভারতীয় বিমান মনে করে গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।  এর কিছুক্ষণ পরে বিমানগুলো অপ্রত্যাশিত ভাবে নিচে নেমে আসে এবং আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রথম গোলা এসে পড়ে 'পদ্মা'য় এবং পরবর্তীতে 'পলাশে'। গোলা সরাসরি 'পদ্মা' এর ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত করে। হতাহত হয় অনেক নাবিক। 'পদ্মা'-র পরিণতিতে পলাশের অধিনায়ক লে. কমান্ডার রায় চৌধুরী নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। রুহুল আমিন এই আদেশে ক্ষিপ্ত

২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য

বাংলাদেশ ২০১৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলেছে। রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি GNI ও আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ যদি ২০১৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয় তবে তা অত্যন্ত সফল ভাবে বিশ্ব ব্যাংকের বেঁধে দেয়া সময়ের ৫ বছর পূর্বেই সম্পন্ন হবে। বিশ্ব ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার প্রথম শর্ত হল বার্ষিক মাথাপিছু আয় একটা নির্দিষ্ট মাইলফলক অতিক্রম করতে হবে। এবং এই মাথাপিছু আয় অবশ্যই সর্বনিম্ন ১০৩৬ ডলার হতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী (২০০৪-২০০৫) সালে বাংলাদেশের GNF ১০৪৪ ডলার। অপরপক্ষে, বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তা ১০২১ ডলার। দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন যে, মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ২০১৬ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব যদি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির হার এভাবে বাড়তে থাকে বা এই রকমই চলতে থাকে। ব্যক্তিগত আয়-ব্যয়,বেসরকারি বিনিয়োগ,সরকারী আয়-ব্যয়, রপ্তানি আয় সহ বৈদেশিক বিনিয়োগ ও অন্যান্য আয়ের কথা মাথায় রেখেই GNI হিসাব করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতি