Skip to main content

Posts

Showing posts from 2017

আইএফআইসি ব্যাংকের বিস্তারিত

ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড যা সংক্ষেপ্তে আইএফআইসি ব্যাংক নামে পরিচিত। প্রথমে অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি নামে বেসরকারি খাতে একটি বিনিযয়োগ কোম্পানি হিসেবে কাজ শুরু করে এটি। সেটা ১৯৭৬ সালের অক্টোবর মাসে। এই কোম্পানি শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যেও দেশগুলোতে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগ ও  অর্থসংস্থান ব্যবসা পরিচালনা করে। এটি ২৪ জুন ১৯৮৩ তারিখে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড নাম নিয়ে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন এবং এম.শাহ আলম সরোয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন। শুরুতে আইএফআইসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ছিল প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যের ১ মিলিয়ন সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত ১০০ মিলিয়ন টাকা। পরিশোধিত মূলধন প্রাথমিক পর্যায়ের ৭১.৫ মিলিয়ন টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮৬ সালে ৮০ মিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকটির ৩২.৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক। ডিরেক্টর ও অন্যান্য পৃষ্ঠপোষ

বিদ্যুৎ শক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

নিয়মিত বিদ্যুৎ বিঘ্নের পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, যতো দ্রুত সম্ভব কিছু একটা করতে হবে। এই বিষয়ে পরিবর্তন আনতে এখনি উপযুক্ত সময়। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তার ২০১৭-১৮ সালের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও শক্তির চাহিদা এবং এর উন্নতি সম্পর্কে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা গুরুত্ব সহকারে বলেছেন। তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। দেশের বিদ্যুৎ নিরাপত্তার কোনও বিকল্প নেই এবং এর উপর অনেক কিছুই ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। হাজার হাজার শিল্প-প্রতিষ্ঠান, ছোট বা মাঝারি যেকোনো উদ্যোগ বিদ্যুৎ শক্তি ছাড়া অচল! এসবের কার্যক্রম চালানোর জন্য বিদ্যুৎ শক্তি একটি অপরিহার্য উপাদান। দেশের বিভিন্ন খাতে প্রায় নিষ্ক্রিয় বেসরকারি বিনিয়োগ এবং লক্ষাধিক মানুষের বেকার থাকার অন্যতম কারন হচ্ছে এই বিদ্যুৎ শক্তির সমস্যা। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অবস্থা জনসাধারণের মনে অনেক সন্দেহ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এদেশ কিভাবে জালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ শক্তির উপর এতোটা নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে সেটির মূলনীতি সম্পর্কেও মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন সৃষ

সালমান এফ রহমান হুরুন গ্লোবালের তালিকায় তার নাম দেখে বিস্মিত

সালমান এফ রহমান একজন ধণী ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বানিজ্য উপদেষ্টা। বেইজিং বিত্তিক গবেষণা সংস্থা হুরুন গ্লোবাল বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ১৬৮৫ তম স্থান তাকে দিয়েছে। সংস্থাটি বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরী করে থাকে।  সম্প্রতি এটি ২০১৭ সালে বিশ্বের ৬৯টি দেশের ২২৫৭ জন বিলিয়নিয়ারদের নিয়ে ধনী ব্যাক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে।হুরুন গ্লোবালের রিপোর্ট অনুযায়ী সালমান এফ রহমানের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ . ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তিনিই এ ধরনের তালিকায় প্রথম বাংলাদেশী। সালমান এফ রহমান বিলিয়নারদের তালিকায় নিজের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছেন। তার মতে তিনি জানেনই না হুরুন গ্লোবাল কিভাবে তার সম্পদের হিসাব বের করেছে। তিনি বলেন হুরুন গ্লোবালের রিপোর্ট অনুযায়ী তার সম্পদের পরিমান ১ . ৩ বিলিয়ন ডলার। বেক্সিমকো গ্রুপের সর্বশেষ বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির সম্পদ এ পরিমান হতে পারে কিন্তু এটা ব্যাক্তিগত সম্পদের হিসাব নয়।

সার্ক এগিয়ে যাবে

ব্যবসায়ীদের সংগঠন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুরাজ বৈদ্য বলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষ ভালো। শূন্য দশমিক ১ শতাংশ সন্ত্রাসবাদী। এদের কারণে ভালো মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসীরা ঠিকই ঘুরে বেড়ায়, তাদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। ঢাকারর সোনারগাঁও হোটেলে সার্ক চেম্বার ও এফবিসিসিআই আয়োজিত  সুরাজ বৈদ্য এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে যে আঞ্চলিক বাণিজ্যে যোগাযোগ অবকাঠামো গুরুত্তপূর্ণ কিন্তু এ অঞ্চলে তা অনেক দুর্বল। আরও উঠে আসে যে সারকের রুলস অব অরিজিনেও রয়েছে জটিলতা। এদুটি বাধা সরাতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নতির হার বেড়ে যাবে।  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন যে, 'সার্কের দেশগুলোর মানুষের মধ্যে প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য কিন্তু সব দেশই অর্থনৈতিকভাবে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশগুলো একজোট হলে এবং  নিজেদের মধ্যে বানিজ্য বাড়ালে প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেড়ে যাবে।' সালমান এফ রহমান চান সার্কভুক্ত দেশগুলো একজোট হোক সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি অ

রাজনীতি ও ধর্ম : সংযোগস্থলে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশটির আভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনীতিতে ইসলামের অনুপ্রবেশ দেশটিকে সমূলে গ্রাস করেছে। এই অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থাটিকে সংগায়ন করতে হলে বলতে হবে যে, এটি হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দল ও ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষ । হেফাজতে ইসলাম নামে একটি নতুন ইসলামিক শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। এর বিপরীতে আবির্ভুত হয়েছে শাহাবাগ আন্দোলন নামে আন্দোলনকারী গণজাগরন মঞ্চের। যদিও তারা বেশি দুর আগাতে পারেনি। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বহু বছর আগে থেকেই ইসলাম চর্চা হয়ে আসছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে এ দেশের প্রতিটি পর্যায়ের মানুষই ইসলামের শিক্ষাকে ধারন করে আসছে। দেশের প্রধান দুই দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাই প্রকাশ্যেই ইসলামের প্রতি তাদের গভীর অনুরাগের কথা জনসম্মুখে বলে থাকে। বিএনপি, জামায়েত ইসলাম নামক শীর্ষস্থানীয় এক দলের সাথে জোট বেঁধেছে। হেফাজতে ইসলামকেও রাজনীতিতে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবের চেয়েও বেশি শক্তিধর হয়ে উঠেছে। তাই জাতীয় নির্বাচন যতই কাছে

পোষাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো না বাড়ানো

পোষাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের উপর সরকারের দমন-নিপীরনের কারনে পাঁচটি আন্তর্জাতিক পোষাক ব্রান্ড এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, সিঅ্যান্ডএ, নেক্সট ও চিবো বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় একটি পোষাক শিল্পের সম্মেলন বর্জন করেছে। দ্যা ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন বলে যে এসব ব্র্যান্ডগুলোর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ সরকার ও পোষাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইএ’র জন্য বিব্রতকর। সিঅ্যান্ডএ ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ও শ্রমিক অধিকার কর্মীদের ডিসেম্বরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে প্রতিবাদের কারনে আটক করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এইচঅ্যান্ডএম ইভেন্টে অংশ গ্রহন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে যে অনুষ্ঠানে অংশ করলে এটা একটা  বিভ্রান্তি সৃষ্টি করত ও সংগঠনের স্বাধীনতায় আমাদের অঙ্গীকারের ভুল সংকেত পাঠানো হতো। আর পুনরায় ব্যবসা শুরু করা পূর্বে চলমান পরিস্থিতি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এবং পোশাক শিল্প কর্মকর্তারা্ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে ডিসেম্বর থেকে আশুলিয়ায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোষাক শ্রমিকদের শ্রমঅধিকার খারাপ পরিস্থিতির দিকে গি

সফল মানুষ ও অন্যরা

বাংলাদেশের কিছু সফল মানুষঃ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ফজলে হাসান আবেদ শেখ হাসিনা সালমান এফ রহমান নিজামুদ্দীন আউলিয়া লিপু সাকিব আল হাসান দেশের অন্যতম সেরা ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৭০ দশকে। বর্তমানে তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এর পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক দায়বন্ধতার যায়গা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ ও সালমান এফ রহমান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াবার জন্যে। সালমান এফ রহমান ঢাকা স্টক একচেঞ্জে পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে এসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি এর চেয়ারম্যান তিনি। বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কম্পানী। কম্পানীটি সারা বিশ্বের মোট ৪৩টি দেশে পণ‌্য রপ্তানী করে থাকে। ৫৫ হাজারেরও বেশী মানুষ এখানে কাজ করে।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাতটি চুড়া

কেউ কেউ হয়ত বলবে যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাতটি চুড়া বাংলাদেশের সাত বীর শ্রেষ্ঠর প্রতিনিধিত্ব করে । আবার অনেকে হয়ত এ বিষয়ে দ্বিমত পোষন করে বলবে সাতটি চুড়ার দ্বারা বাংলাদেশের সাতটি বিপ্লবকে বুঝায় যেগুলো হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন , ১৯৫৪ , ১৯৫৮ , ১৯৬২ , ১৯৬৬ , ১৯৬৯ এর গণআন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ । এটার ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে যেহেতু স্মৃতিসৌধটি সার্বজনীন । একটি মজার বিষয় হলো স্থানীয় বাশের কাঠামো দ্বারা মাত্র তিন মাসের মধ্যে তৈরী করেছিল সাতটি চুড়া । জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখতে পিরামিডের মত নয় ; বরং বাকানো পিরামিডের মত দেখতে ! এই ইফেক্টটি তৈরী করা হয়েছে প্রত্যেকটি বাকানো অংশগুলো একের পর এক সাজিয়ে । দেখে মনে হয় এগুলো এলোমেলোভাবে একটির পর একটি বসানো হয়েছে । প্রকৃতপক্ষে এগুলো এলোমেলো নয় ! বরং এই ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরী করার জন্য খুব সুচাতুর ভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটার পর একটা সাজানো হয়েছে ।