নর্থব্রুক হল নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুকের ঢাকা সফরকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য। তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়েছিল। স্থানীয় জমিদার এবং ধনীদের অর্থায়নে নির্মিত নর্থ ব্রুক হলের নির্মান কাজ শেষ হয় ১৮৭৯ সালে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের মধ্যে অতুলনীয় সৌন্দর্য্যের অধিকারী এই নর্থব্রুক হল নির্মিত হয়েছিল মুগল এবং উপনিবেশিক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের মিশেলে। নজরকাঁড়া লাল রঙের কারনে আরেক নাম হয় ‘লাল কুঠি’। নর্থব্রুক হলটি টাউন হল হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে টাউন হলটিকে একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে রূপান্তর করা হয়, এর নাম ছিল ‘নর্থব্রুল হল লাইব্রেরী’। বিলেত থেকেও বই আনা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লাইব্রেরীর অনেক সংগ্রহ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। লাইব্রেরীর পাশাপাশি এখানে ‘জনসন হল’ নামে একটি ক্লাবঘরও যোগ করা হয়েছিল।