এক তদন্ত অনুযায়ী জনতা ব্যাংক
বিগত দুই বছরে নিয়ম ভঙ্গ করে ৩০ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে। এটা ঘটলো এমন সময় যখন
সরকার জনগনের অর্থ বিনিয়োগ করে মুলধন পুঁজি করে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকের অধিকর্তাগন ঋনের উপর সুদ মওকুফ করলেন নিয়ম ভঙ্গ করে।
সরকার ২০১৩ সালে ব্যাংকটিকে ৮১৪
কোটি টাকা মুলধন দিলেও ব্যাংকটিতে ১৬২০ কোটি টাকার মুলধনের ঘাটতি আছে । সম্প্রতি বাংলাদেশ
ব্যাংকের তদন্তে সনাক্ত হয়েছে যে বিগত বছর ব্যাংকটি ৩১৮ কোটি টাকার সাময়িক ঘাটতি ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্ত্র অনুযায়ী
সম্প্রতি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দ্বি-শিল্প
ঋনের উপর ১০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করবে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
যদি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন বাড়াতে অস্বীকার করে তাহলে অর্থমন্ত্রনালয়ের সুদ মওকুফ
নীতি অনুসরন করে জনতা ব্যাংক সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে। সুদ মওকুফের নীতিমালা
অনুযায়ী ব্যাংকের বোর্ড তহবিলের পুনরুদ্ধার খরচ নিশ্চিত করে ঋনের উপর সুদ মওকুফ করতে
পারবে। তবে এ নীতি কোন ব্যাংককে আয় কমিয়ে সুদ মওকুফের অনুমতি দেয়না ।
এর আগে জনতা ব্যাংক গুডম্যান
ফার্মাসিটিক্যালস এর ঋনের উপর ৮.৪৫ কোটি টাকা এবং ঢাকা হেচারীর ১২.৪৮ কোটি টাকার সুদ
মওকুফ করে। মহাহিসাবাধ্যক্ষ এবং নিরীক্ষক (সিএজি) সুদ মওকুফের আপত্তি জানিয়েছেন কিন্তু
জনতা ব্যাংক সেদিকে ভুরুক্ষেপ করেনি। আপত্তি সত্তেও জনতা ব্যাংক সুদ মওকুফ করে বাজার
মূল্য কমিয়ে ১৮ কোটি টাকাতে নামিয়ে এনেছে।
নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষন না আয়ের
বিবৃতি অনুসারে একটি একাউণ্ট ঋনখেলাপী না হয় ব্যাংক সুদ নিতে পারে। পরে যতখন ঋন খেলাপী
একাউন্ট সনাক্ত হয় তখন সুদ অস্থায়ী একাউন্টে নেয়া হয়। এই পর্যায়ের শেষে ঋনের উপর সুদ
অস্থায়ী একাউন্ট থেকে নেয়া হয়। হিসাবরক্ষন নিয়মানুযায়ী ব্যাংক শুধুমাত্র অস্থায়ী এবং
অনাহিত সুদ মাফ করতে পারে কিন্তু কোন উপায়ে আয় কমিয়ে সুদ মাফ করতে পারবেনা।
যদিও সুদ মওকুফের ক্ষেত্ত্রে
বাংলাদেশ ব্যাংককের অনুমোদনের প্রয়োজন নাই তবুও বোর্ড অফ ব্যাংক দ্বি-শিল্প ঋনের উপর
সুদ মওকুফের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করছে। যাতে
ভব্যিষতে কোন প্রশ্ন উঠলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়ী করা যায়।
Comments
Post a Comment