দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে সরকার যখন নানারকম পদক্ষেপ গ্রহন করছে ঠিক তখনই সরকারের নানা রকম সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে রমরমা যেমন সরকার মূলত গাইড নির্ভরতা কমাতে এবং ছাত্র ছাত্রীদের প্রকৃত মেধার বিকাশ ঘটাতেই সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু হয়েছে হিতে বিপরীত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সৃজনশীলতার নামে ছাত্র ছাত্রীদের পুরোপুরি গাইড নির্ভর করে তুলছে।কিছুদিন আগে ঢাকার এক শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীর সাথে কথা বলে চোখ কপালে উঠার মত অবস্থা হয়।কথা বলে জানা যায় তাদের কলেজের ইংরেজী ক্লাস নেয় ৪ জন শিক্ষক এবং প্রত্যেক শিক্ষক তাদের একটি করে গাইড কিনতে বলেছে। এক কথায় বলতে গেলে বাধ্যতামুলক করেছে।গাইড বই না নিয়ে আসলে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটছে হরহামেসা।প্রায় প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে একই নিয়ম চলছে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৪ থেকে ৫ টি করে গাইড অথবা রেফারেন্স বই কিনতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক আর প্রতিষ্ঠানগুলো পাচ্ছে মোটা অঙ্কের কমিশন।
আর কোচিং বাণিজ্য তাতো চলছে পুরোদমেই। প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাসে পড়ানো হয়না বললেই চলে।কোচিং এর নামে তারা দোকান খুলে বসেছে এবং যারা এসব কোচিং এ পড়ে না তাদের সাথে করে হয় বৈষম্যমূলক আচরন। অনেক শিক্ষক আছেন যারা কোন রকম কোচিং এর সাথে যুক্ত থাকে না। তারা আরও এক কদম এগিয়ে গেছে। ব্যাচ পড়ানোর নামে তার ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছে।যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা তাদের কাছে পড়তে যায় না তাদের ক্লাসে নানা ভাবে অপমান ও হীনমন্য করা হয় এমনকি পরীক্ষায় কম নম্বর যেন তাদের পাওনা।এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ড্রেস বানানোর জন্য থাকে নিজস্ব দর্জি। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাধ্যতামুলক ইউনিফর্ম বানাতে হয়।ইয়নিফর্ম বাবদ এরা ছাত্র ছাত্রীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের খাতা কলম, ডায়েরী, ক্যাপ, টাই ইত্যাদির জন্যও অতি উচ্চমূল্য নির্ধারন করা হয়। বাহিরের কোন দোকানে যে খাতাটি ৩০ থেকে ৪০ টাকাতে কেনা যায় তা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করে। প্রত্যেকটি দ্রব্য ডায়েরী, ক্যাপ, টাই সবগুলোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা। এ সব হল ভর্তির পরের দৃশ্য।
ডোনেশনের নামে চলছে ভর্তি বাণিজ্য।ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তির নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। যে ব্যবসায় লাগেনা কোন পুঁজি লাগেনা কোন লাইসেন্স।দেশের নামী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতেও লাগে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে? যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দুইবেলা খাবার যোগাড় করতে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে সে দেশে শিক্ষার নামে এমন বিলাসিতা উচিত নয়।আমরা কথায় কথায় সরকারকে দোষ দেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষ দেই। দোষ যদি কারো থেকে থাকে তাহলে সেই দোষ আমাদের প্রত্যকটি নাগরিকের কারন এমন অনৈতিকতা দেখেও আমাদের বিবেক জাগ্রত হয় না।আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবসা চালাতে।
এভাবে চলতে থাকলে সে দিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথবা বিপনি বিতান লেখা থাকবে।
আর কোচিং বাণিজ্য তাতো চলছে পুরোদমেই। প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাসে পড়ানো হয়না বললেই চলে।কোচিং এর নামে তারা দোকান খুলে বসেছে এবং যারা এসব কোচিং এ পড়ে না তাদের সাথে করে হয় বৈষম্যমূলক আচরন। অনেক শিক্ষক আছেন যারা কোন রকম কোচিং এর সাথে যুক্ত থাকে না। তারা আরও এক কদম এগিয়ে গেছে। ব্যাচ পড়ানোর নামে তার ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছে।যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা তাদের কাছে পড়তে যায় না তাদের ক্লাসে নানা ভাবে অপমান ও হীনমন্য করা হয় এমনকি পরীক্ষায় কম নম্বর যেন তাদের পাওনা।এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ড্রেস বানানোর জন্য থাকে নিজস্ব দর্জি। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাধ্যতামুলক ইউনিফর্ম বানাতে হয়।ইয়নিফর্ম বাবদ এরা ছাত্র ছাত্রীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের খাতা কলম, ডায়েরী, ক্যাপ, টাই ইত্যাদির জন্যও অতি উচ্চমূল্য নির্ধারন করা হয়। বাহিরের কোন দোকানে যে খাতাটি ৩০ থেকে ৪০ টাকাতে কেনা যায় তা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করে। প্রত্যেকটি দ্রব্য ডায়েরী, ক্যাপ, টাই সবগুলোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা। এ সব হল ভর্তির পরের দৃশ্য।
ডোনেশনের নামে চলছে ভর্তি বাণিজ্য।ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তির নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। যে ব্যবসায় লাগেনা কোন পুঁজি লাগেনা কোন লাইসেন্স।দেশের নামী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতেও লাগে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে? যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দুইবেলা খাবার যোগাড় করতে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে সে দেশে শিক্ষার নামে এমন বিলাসিতা উচিত নয়।আমরা কথায় কথায় সরকারকে দোষ দেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষ দেই। দোষ যদি কারো থেকে থাকে তাহলে সেই দোষ আমাদের প্রত্যকটি নাগরিকের কারন এমন অনৈতিকতা দেখেও আমাদের বিবেক জাগ্রত হয় না।আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবসা চালাতে।
এভাবে চলতে থাকলে সে দিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথবা বিপনি বিতান লেখা থাকবে।
Comments
Post a Comment