Skip to main content

প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সৌদিআরব সফর

আশা করা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সৌদিআরব সফর দুই দেশের মধ্যে আরও বেশী মৈত্রী ও সহযোগিতা জোরদার করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তার সাথে ছিলেন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন সহ অন্যান্য উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছান, সৌদি সেনাবাহিনীর বিশেষ সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এছাড়া ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আব্দুল আজিজ ও দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আওয়াদ আসিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। আরও ছিলেন ওআইসি’তে স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মাসিহ। সাধারণত গভর্নর দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। অন্যদিকে স্বয়ং বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রাজধানী রিয়াদে নয়, জেদ্দায় আল সালাম প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। এটা ইঙ্গিত দেয় সৌদি সরকার এই সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছে দেশ দুটি।

সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা পুরোপুরি উন্মুক্তকরণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর সফরের টপ এজেন্ডা। এজেন্ডা বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশী সৌদিআরবে কর্মরত আছেন যার মধ্যে ৪২ হাজার নারী শ্রমিক। এই বিপুলসংখ্যক কর্মী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে সৌদিআরব কথা দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে আরও ৫ লাখ কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা, ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার নিতে দেশটি আগ্রহী।

ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন, আইডিবি মুসলিম দেশগুলোতে বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে একটি ‘ইসলামী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাতে অংশগ্রহণে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে দেয়া আইডিবির ঋণের সুদের হার কমানোরও অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে। এছাড়া নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা স্মারক। সৌদি ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিফলক উদ্বোধন করেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে উঠে এসেছে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়। প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ হতে পারে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য সেকেন্ড হোম। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলছেন, “আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, একটা শক্তিশালী সম্পর্ক উম্মুক্ত হয়েছে, যেটা আমরা আগে ঠিক এভাবে দেখিনি। আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তারও অনেক বেশি সফলতা এসেছে বলে আমার মনে হয়। এই সফরের মধ্য দিয়ে শুধু নতুন অধ্যায়ই উন্মুক্ত হয়নি, আমাদের সম্পর্ক ইতোমধ্যে একটা নতুন উচ্চতায় চলে গেছে।”

এ সফরের মাধ্যমে প্রমান হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি কোন সৌদি চাপ নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে।

দেশে আসার সময় সময় মদিনার ডেপুটি গভর্নর আব্দুল মহসিন আল মুনেফ, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম  প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তত্কালীন সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে সৌদি আরব সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের নভেম্বরে একবার ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেও সৌদি আরব যান।

তথ্যসূত্রঃ

http://www.bangladeshupdates.com/pm-visits-saud/

http://www.ittefaq.com.bd/national/2016/06/07/71494.html

http://www.amadershomoy.biz/unicode/2016/06/07/121960.htm#.V1fvoTV96Uk

http://www.jugantor.com/editorial/2016/06/08/37270/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0

Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয...

Salman F Rahman and BEXIMCO – “Taking Bangladesh to the World”

From its founding in the 1970’s by two brothers with uncommon foresight and vision, Ahmed Sohail Fasiur Rahman and Ahmed Salman Fazlur Rahman, the BEXIMCO group has grown from being focused solely upon commodities trading to the largest private sector group in Bangladesh.  From real estate development to energy to aviation to textiles, the group has certainly touched lives.  With a diversified group of industries accounting for almost three quarters of Bangladesh’s gross domestic product (GDP), “Taking Bangladesh to the world” seems a more-than-fitting motto for thegroup.  In today’s climate of global business, it is not enough to be satisfied with success solely on the domestic level.  BEXIMCO is certainly not.  Even as Bangladesh’s biggest private sector employer, the group employs over 48,000 people worldwide and continues to grow.  Under the guidance of its gifted management, BEXIMCO has its sights on the international market.  The management team...