বাংলাদেশের সরকারী কর্মকতাদের নিয়ে একটি সাধারন ধারনা প্রচলিত যে তারা অলস, র্দূনীতি পরায়ণ এবং সাধারণ মানুষকে হয়রান করতে ভালবাসে; হোক তারা ব্যাংকার, পুলিশ কর্মকর্তা বা সচিবালয়ের কর্মকর্তা। বাস্তবতা হলো সাধারন মানুষ সরকারী কর্মকতাদের মোটেও পছন্দ করে না। তারা প্রয়োজনীয় কাজগুলো এত সময় নিয়ে করে যে সাধারন মানুষ তাদের কাছে যেতে চায় না। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা জনপ্রিয়। তারা দারিদ্রতা, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও অসহনীয় যানজটের মাঝেও দেশবাসীকে আনন্দের সুবাতাশ এনে দেয়। তাদের আত্মত্যাগ, দৃঢ়তা এবং দেশের প্রতি ভালবাসা অতুলনীয়। সরকারি কর্মকর্তারা যদি ক্রিকেটারদের মতন হতেন তাহলে আনেক সমস্যা কমে যেত। যেমন...
পরিশ্রম
ক্রিকেটারেরা সব সময় নিজেদের অনুশীলনের মধ্যে রাখে এমনকি যখন কোন খেলা থাকে না। তারা নিজেদের দক্ষতা আরো বাড়ানোর জন্য কঠর পরিশ্রম করে। সব সরকারী র্কমকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত যাতে করে তার নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা আরো বাড়াতে পারে।
আনুগত্য
কোন ম্যাচ চলার সময় ক্রিকেটারেরা কখনও খেলা ছেড়ে মাঠ থেকে বের হয়ে আসে না। মাঠে প্রবেশ করে খেলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়। এই সেদিন মাত্র ২২ বছরের মমিনুল হক টেষ্টে প্রচন্ড জ্বর নিয়েও টানা প্রায় ৬ ঘন্টা ব্যাট করল। সে জানতো সতীর্থ ও দেশের মানুষ চায় যে তাকে খেলে যেতে হবে এবং সে সেটা করেও ছিল। এটাই প্রমাণ করে তারা কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক। সরকারী কর্মকর্তাদেরও ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এরকম আন্তরিকতা শেখা উচিত।
চাপ সামলানোর দক্ষতা
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চাপ সামলানোর দক্ষতা অসাধারণ। তারা দর্শকদের প্রবল প্রত্যশার চাপে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়ে কিন্তু কখনও সাহস হারায় না। তারা জানে একটা বাজে ম্যাচও দর্শকদের ভালবাসা ঘৃণায় পরিণত হতে পারে। বাজে মুহূর্তে তারা মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বাজে ম্যাচেও ভাল কিছু করার চেষ্টা করে যায়। অন্যদিকে সরকারী কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের সাথে বাজে আচারন করে এমনকি সামান্য সমালোচনা হলেই কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
বুদ্ধিমত্তা
ক্রিকেটারেরা হয়তো খুব উচ্চ শিক্ষিত নয় কিন্তু তার সরকারী কর্মকর্তাদের থেকে অনেক বুদ্ধিমান। যখন তার মিডিয়ার মুখোমুখি হয় তখন তারা অনেক আত্বমর্যাদার সাথে কথা বলে এবং বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। গর্বের সাথে একটা কথা বলা যেতে পারে যে তারা নিজেদের ভুলের জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায় না। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সমালোচনা সামলায়। বিদেশ সফরের সময় তারা জাতির সম্মানের কথা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ ভাল আচারণ করে।
দেশাত্ববোধ
এটা ক্রিকেটারদের একটা মহৎ গুণ। তারা সবসময় দেশের জন্য খেলে এমনকি তার মিলিয়ন ডলারের আই,, পি, এল এর চুক্তি বাদ দিয়ে সবসময় দেশেকেই আগে প্রাধাণ্য দিবে। তারা টাকার জন্য খেলার পরির্বতে দেশের হয়ে খেলাটাকেই সম্মানজনক মনে করে। যতই টাকার লোভ দেখানো হোক না কেন তারা কখনও উদ্দেশ্যমুলোক ভাবে পরাজিত হবে না কারন তারা জানে যে তাদের জনগণের টাকায় পারিশ্রমিক দেয়া হয় এবং তারা তার মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করে।
এ কথা সত্য যে কিছু কিছু সরকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, দক্ষ এবং কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। কিন্তু তাদের বেশীভাগই অসৎ, অলস ও কুমতলবী। যদি তাদেরও এই গুনগুলো থাকতো তাহলে দেশ আরও উন্নত হতো, জনগণও উন্নত সেবা পেত ও তারাও জনগণের ভালবাসার পাত্রে পরিণত হতো।
What government officials need to learn from the cricketers
সরকারি কর্মচারীদের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কি শেখা উচিত
পরিশ্রম
ক্রিকেটারেরা সব সময় নিজেদের অনুশীলনের মধ্যে রাখে এমনকি যখন কোন খেলা থাকে না। তারা নিজেদের দক্ষতা আরো বাড়ানোর জন্য কঠর পরিশ্রম করে। সব সরকারী র্কমকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত যাতে করে তার নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা আরো বাড়াতে পারে।
আনুগত্য
কোন ম্যাচ চলার সময় ক্রিকেটারেরা কখনও খেলা ছেড়ে মাঠ থেকে বের হয়ে আসে না। মাঠে প্রবেশ করে খেলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়। এই সেদিন মাত্র ২২ বছরের মমিনুল হক টেষ্টে প্রচন্ড জ্বর নিয়েও টানা প্রায় ৬ ঘন্টা ব্যাট করল। সে জানতো সতীর্থ ও দেশের মানুষ চায় যে তাকে খেলে যেতে হবে এবং সে সেটা করেও ছিল। এটাই প্রমাণ করে তারা কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক। সরকারী কর্মকর্তাদেরও ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এরকম আন্তরিকতা শেখা উচিত।
চাপ সামলানোর দক্ষতা
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চাপ সামলানোর দক্ষতা অসাধারণ। তারা দর্শকদের প্রবল প্রত্যশার চাপে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়ে কিন্তু কখনও সাহস হারায় না। তারা জানে একটা বাজে ম্যাচও দর্শকদের ভালবাসা ঘৃণায় পরিণত হতে পারে। বাজে মুহূর্তে তারা মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বাজে ম্যাচেও ভাল কিছু করার চেষ্টা করে যায়। অন্যদিকে সরকারী কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের সাথে বাজে আচারন করে এমনকি সামান্য সমালোচনা হলেই কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
বুদ্ধিমত্তা
ক্রিকেটারেরা হয়তো খুব উচ্চ শিক্ষিত নয় কিন্তু তার সরকারী কর্মকর্তাদের থেকে অনেক বুদ্ধিমান। যখন তার মিডিয়ার মুখোমুখি হয় তখন তারা অনেক আত্বমর্যাদার সাথে কথা বলে এবং বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। গর্বের সাথে একটা কথা বলা যেতে পারে যে তারা নিজেদের ভুলের জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায় না। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সমালোচনা সামলায়। বিদেশ সফরের সময় তারা জাতির সম্মানের কথা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ ভাল আচারণ করে।
দেশাত্ববোধ
এটা ক্রিকেটারদের একটা মহৎ গুণ। তারা সবসময় দেশের জন্য খেলে এমনকি তার মিলিয়ন ডলারের আই,, পি, এল এর চুক্তি বাদ দিয়ে সবসময় দেশেকেই আগে প্রাধাণ্য দিবে। তারা টাকার জন্য খেলার পরির্বতে দেশের হয়ে খেলাটাকেই সম্মানজনক মনে করে। যতই টাকার লোভ দেখানো হোক না কেন তারা কখনও উদ্দেশ্যমুলোক ভাবে পরাজিত হবে না কারন তারা জানে যে তাদের জনগণের টাকায় পারিশ্রমিক দেয়া হয় এবং তারা তার মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করে।
এ কথা সত্য যে কিছু কিছু সরকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, দক্ষ এবং কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। কিন্তু তাদের বেশীভাগই অসৎ, অলস ও কুমতলবী। যদি তাদেরও এই গুনগুলো থাকতো তাহলে দেশ আরও উন্নত হতো, জনগণও উন্নত সেবা পেত ও তারাও জনগণের ভালবাসার পাত্রে পরিণত হতো।
What government officials need to learn from the cricketers
সরকারি কর্মচারীদের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কি শেখা উচিত
Comments
Post a Comment