Skip to main content

সিঁদেল চোরের পছন্দের দশ সামগ্রী

১. নগদ টাকা:
একজন সিঁদেল চোর মনে মনে যে শপিং লস্টি তৈরি করে রেখেছে সেটা যদি আপনি দেখতে পেতেন তাহলে দেখতেন সেখানে নগদ টাকা সবার উপরে আছে। এটার নগদ মূল্য আছে এবং যেকোনো লেনদেনে ব্যবহার করা যায়। আর সে কারণেই সিঁদেল চোরের প্রথম টার্গেট থাকে নগদ টাকা অথবা সহজেই নগদ টাকায় পরিণত করা যায় এমন কিছু সামগ্রী।

২. ওয়ালেট এবং পার্স:
সিঁদেল চোরেরা ওয়ালেট এবং পার্স নিতে খুবই পটু। তারা এটা নিতে পছন্দ করে কারণ এটার মধ্যে নগদ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং আইডি কার্ড থাকে। চোরেরা ক্রেডিট কার্ড সম্ভবত ডেবিট কার্ড থেকেও টাকা তুলে নিতে পারে। আর আইডি কার্ড থেকে তারা ঠিকানা নিয়ে অথবা পরিচয় নকল করে বড় চুরির পরিকল্পনা করতে পারে।

৩. স্মার্ট ফোন ও ট্যাবলয়েট:
স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবলয়েট মানুষের অত্যাবশকীয় যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আর সিঁদেল চোরেরাও এই যন্ত্রগুলি তাদের চুরির তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেছে। কারণ এই যন্ত্রগুলো খুব সহজেই অন্যের কাছে বিক্রি করা যায়।

৪. মূল্যবান খেলনা ও ইলেট্রনিক সামগ্রী:
একজন চোর ভালো গেমস খেলতে না পারলেও পিএস.ফোর এর মতো মূল্যবান খেলনা সামগ্রী চুরি করতে পিছপা হবে না। কারণ এগুলো রাস্তায় বিক্রি করে দেয়ার মতো জনপ্রিয় সামগ্রী। লেটেস্ট মডেলের ক্যামেরা, ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাদের চুরির তালিকায় গুরুত্ব পায়।

৫. গয়না:
গয়না সহজেই নগদ টাকায় বিক্রি করা এবং অলংকারের দোকানে বন্ধক রাখা বা রাস্তায় বিক্রি করে দেয়া যায়। এটা খুব সহজেই পকেটে ভরে রাখা এবং বহন করা যায়।

৬. বন্দুক এবং গোলাবারুদ:
বিভিন্ন রহস্যোদঘাটন ছবিতে দেখে থাকবেন যে সেখানে প্রচুর পরিমাণে গোলবারুদ এবং বন্দুক চুরি করতে দেখা যায়। শুধু ছবিতে কেন বাস্তবেও চোরদের কাছে বন্দুক এবং গোলাবারুদের মূল্য রয়েছে। কারণ এটা নিজের সাথে স্বযতেœ রাখতে পারে এবং প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া বাজারেও এই সব দ্রব্যগুলোর ব্যাপক কাটতি রয়েছে।

৭. গাড়ী এবং গাড়ীর যন্ত্রাংশ:
সিনেমায় আমরা দেখে থাকি গাড়ী চোরেরা রোমাঞ্চিত হওয়ার জন্য চুরি করে থাকে। আসলে বাস্তবে কেবল রোমাঞ্চিত হওয়ার জন্যই নয় টাকার জন্যও করে। সব সময় চোরেরা পুরো গাড়ী চুরি করে না। কখনো কখনো গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তারা চুরি করে নিয়ে চোরাবাজারে সহজেই বিক্রি করে দেয়।

৮. ব্যক্তিগত নথি:
ব্যক্তিগত নথি এবং আইডি কার্ড চুরির সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। চোরেরা এখন পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জš§ সনদ এবং প্রোপার্টি টাইটেলস এবং ইউটিলিটি বিল চুরি করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা কেবল নিজের প্রয়োজনেই এগুলো চুরি করে না, কখনো কখনো ক্রিমিনালদের কাছে তথ্য বিক্রির জন্যও করে থাকে।

৯. বিলাসবহুল সামগ্রী:
বিলাসবহুল সামগ্রী যেমন-খেলাধুলা সামগ্রী বিশেষ করে গলফ ক্লাব, সংগীতের যন্ত্র-ভায়োলিন এবং অন্যান্য বিলাসবহুল সামগ্রীও এখন সিঁদেল চোরদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। কারণ এগুলো বাজারে বেশ মূল্যবান।

১০. পাওয়ার সামগ্রী:
একজন সিঁদেল চোর যদি কোনো গ্যারেজে ঢুকতে পারে তাহলে যেকোনো পাওয়ার সামগ্রী খোয়া যেতে পারে। কারণ পাওয়ার সামগ্রীগুলো বেশ ব্যয়বহুল, প্রয়োজনীয় এবং বাজারে এগুলোর বেশ চাহিদা রয়েছে। মনে রাখা দরকার যে সিদেল চোরের চুরির তালিকায় সর্বদা ওইসব সামগ্রী গুরুত্ব পায় যেগুলো পুনঃবিক্রি করা যায়, যার নগদ বাজার মূল্য আছে পাশাপাশি এমন সব জিনিস যেগুলো কম ওজনের এবং সহজে বহন করা যায়।

নগদ টাকা সিঁদেল চোরের চুরির তালিকায় শীর্ষে থাকে। এছাড়া আরো কিছু মূল্যবান সামগ্রী যেমন গয়না এবং বন্দুকও রয়েছে। যেহেতু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বেশ এগিয়েছে তাই চোরেরাও তাদের চুরির ধরণ এবং তালিকায় পরিবর্তন আনছে। এখন তারা নতুন নতুন প্রযুক্তি পন্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও চুরি করছে। তবে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র কিভাবে নিরাপদে রাখবেন।

মুল লেখাঃ Top 10 items on a burglar's shopping list

এই বিষয়ে অন্য প্রবন্ধঃ বুদ্ধি-পরামর্শ

Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid