Skip to main content

বিদ্যুৎ শক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

নিয়মিত বিদ্যুৎ বিঘ্নের পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, যতো দ্রুত সম্ভব কিছু একটা করতে হবে। এই বিষয়ে পরিবর্তন আনতে এখনি উপযুক্ত সময়। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তার ২০১৭-১৮ সালের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও শক্তির চাহিদা এবং এর উন্নতি সম্পর্কে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা গুরুত্ব সহকারে বলেছেন। তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। দেশের বিদ্যুৎ নিরাপত্তার কোনও বিকল্প নেই এবং এর উপর অনেক কিছুই ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। হাজার হাজার শিল্প-প্রতিষ্ঠান, ছোট বা মাঝারি যেকোনো উদ্যোগ বিদ্যুৎ শক্তি ছাড়া অচল! এসবের কার্যক্রম চালানোর জন্য বিদ্যুৎ শক্তি একটি অপরিহার্য উপাদান। দেশের বিভিন্ন খাতে প্রায় নিষ্ক্রিয় বেসরকারি বিনিয়োগ এবং লক্ষাধিক মানুষের বেকার থাকার অন্যতম কারন হচ্ছে এই বিদ্যুৎ শক্তির সমস্যা।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অবস্থা জনসাধারণের মনে অনেক সন্দেহ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এদেশ কিভাবে জালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ শক্তির উপর এতোটা নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে সেটির মূলনীতি সম্পর্কেও মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ও বণ্টনের ক্ষেত্রে সরকার অনেকটাই এগিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এদেশের অনেক সংখ্যক গ্রামাঞ্চলে সৌরশক্তির লক্ষণীয় সম্প্রসারণ। কিন্তু, অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে সাথে অনেক গ্রাম্য এলাকাও বিদ্যুৎ শক্তির আওতাভুক্ত হচ্ছে, যার ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষরা সৌরশক্তির ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে এবং বিদ্যুৎ শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে। অবশেষে এই নির্ভরশীলতা দেশের তেল-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বণ্টন প্রক্রিয়ার উপর অনেক চাপ ফেলছে।

তথ্য সুত্রঃ
ঔষধশিল্প ও ইপিজেডগুলো কি আসলেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করছে?
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন অনেক দক্ষ ও পরিণত

এমনকি বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বিদ্যুৎ শক্তির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এটি অনেক সাশ্রয়ী হয়ে উঠছে। উদাহরনস্বরূপ, গ্রীন গার্ড অ্যালায়েন্স- এর সদস্য দেশগুলো বিভিন্ন মরুভূমি অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ-কেন্দ্র বানানোর চিন্তাভাবনা করছে।  তারা প্রধানত সাহারা মরুভূমি, ভারতের রাজস্থান এবং চীনে এই সৌর-বিদ্যুত স্থাপনের চিন্তা করছে। পূর্বে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন প্রতি দশ বছরে হলেও, বর্তমানে এটি প্রতিনিয়তই হচ্ছে। বাংলাদেশও ভবিষ্যতে এই গ্রীন গার্ড অ্যালায়েন্স- এর পরিকল্পনা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হতে পারে। এটি অনেক সাশ্রয়ী হবে এবং কার্বন ব্যাবহারের পরিমাণও অনেক হ্রাস পাবে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে এবং বিদ্যুৎ-কেন্দ্র ও কার্বন টার্মিনাল নির্মাণের খরচের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির পরিমানও অনেকটাই কমে যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বিদ্যুতের উপযুক্ত ব্যাবহারের ক্ষেত্রে এদেশের ‘বাংলাদেশ মডেল’-টি পৃথিবীর প্রায় ১৪টি দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে। দেশের সর্বস্তরে নবায়নযোগ্য অথবা সবুজ জ্বালানির উপযুক্ত ব্যাবহারের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা থাকা উচিৎ। এরই সাথে বিপুল পরিমাণ জনসচেতনতা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করা উচিৎ, যাতে করে মানুষ এসব বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারে।





Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid