প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান মনে করেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পরিবেশ রক্ষাকে কেন্দ্র করে ঘটছে। এই শিল্প বিপ্লবে সকল ধরনের শিল্পায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। দেশে যদি গাড়ি তৈরির শিল্পায়ন করতে হয় তাহলে তা অবশ্যই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে একাত্ম হয়ে করতে হবে।
‘কার মার্কেট ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গাড়ি উৎপাদন যেতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির নীতিমালাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের যদি টেকসই শিল্প করতে হয় তাহলে অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের যদি ভর্তুকিও দিতে হয় তাও দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
গাড়ি উৎপাদনকারী দেশগুলো এখন পেট্রোল বা ডিজেলভিত্তিক প্রযুক্তি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “আমরা এখনও গাড়ি তৈরিতে শুন্য অবস্থানে। তাই আমার কোনো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নেই। এমন পরিস্থিতিতে যদি আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে না এগোই তাহলে দেশীয় ও রপ্তানি বাজার ধরতে পারব না।”
তথ্যসূত্রঃ বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে - সালমান এফ রহমান
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
সালমান এফ রহমান বলেন আরও বলেন, আমাদের কাছে এখন প্রস্তাব আসছে টয়োটাসহ অনেক বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে বাংলাদেশে গাড়ি শিল্প নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করে আমাদের কার পলিসি পরিবর্তন করার অনুরোধ জানিয়েছে। আমি তাদের বলেছি তোমরা পুরনো গাড়ি উৎপাদনে আসলে আমি কিছুই করতে পারব না। কিন্তু যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন করো তাহলে কি চাও তোমরা আমাদের বলো, আমি তোমাদের প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাব এবং যেসব সুবিধা চাও আমরা দেব।
মূল প্রবন্ধে আহসান এইচ মনসুর বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার মানুষের মাত্র তিনজন গাড়ি কেনেন। গত অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে দেশে গাড়ি আমদানি হয়েছে মাত্র চার হাজার ৭২৫টি। যদিও তার আগের ২০১৯-১৯ অর্থবছরে ২৩ হাজার গাড়ি আমদানি হয়েছিল। বারভিডা প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক বলেন, “দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির মাধ্যমে দেশে আমরা দীর্ঘ ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই খাতটি গড়ে তুলেছি। তাই দেশে গাড়ি উৎপাদন করলে আমরাও যেন ধ্বংস হয়ে না যাই, সেটিও মনে রাখতে হবে।”
Comments
Post a Comment