Skip to main content

ডিজিটাল প্রতারণা রোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ যাতে ডিজিটাল প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা এবং ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ই-কমার্স সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং ব্যবসা পরিচালনায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ ‘ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি)’ উদ্বোধন করা হয়। ইউবিআইডি উদ্বোধনকালে চাল ডাল লিমিটেড, আজকের ডিল, রকমারিডটকমসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়া হয় এবং তাদের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, ফেসবুকসহ অনলাইন মাধ্যমে যারা ব্যবসা করবেন তাদের নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা বা প্রতারণার সুযোগ রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেসব লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে সেই টাকা ফেরত দেয়া হবে। কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা আমরা বের করেছি এবং ১৫ কোটি টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে টাকা ফেরত দেয়ার প্রসিডিউরে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করে আমরা দিয়ে দেবো। এটা একটা কোম্পানি। আরও বিভিন্ন কোম্পানি আছে।

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিবন্ধনের এই উদ্যোগ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে শুরু হলো। এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে ই-কমার্স উদ্যোক্তা তার স্বীকৃতি ছিল না। এতে তাদের স্বীকৃতির পথ তৈরি হলো। আমরা হয়তো একটা সময় পর বলবো যারা নিবন্ধনের বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের দায় দায়িত্ব নিতে পারবো না।

Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid