জ্বালানি ছাড়াও দেশের অন্যান্য খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি কোম্পানির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে করবে। যেখানে জ্বালানিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তুলায় যেন জিএসপি সুবিধা দেয়া হয়—বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের এমন দাবির বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত বলেছেন কাজটা খুব একটা সহজ না। কারণ ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএসপি সুবিধা চালু করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। তাই সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারে যে রিপোর্টগুলো প্রকাশ করে, তা স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে করা হয়। তাই সব রিপোর্টে সঠিক তথ্য থাকে না। তাছাড়া রিপোর্টগুলো নিয়ে তদন্তও হয় না। তাই মানবাধিকারের সব রিপোর্ট সঠিক নয়। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রিপোর্টগুলো শুনে করা বলে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে।
সাক্ষাতের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, এটি একটি সফল বৈঠক ছিল। আমাদের দুই দেশের অর্থনীতির সহযোগিতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অর্থনীতি হতে পারে আমাদের দুই দেশের যৌথ উন্নয়নের একটি ক্ষেত্র। আগামী মাসের শুরুতে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া জুনে যৌথ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে সালমান এফ রহমান যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
মানবাধিকার প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলে আমরা মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করি। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এটা করা হয়। তবে এ প্রতিবেদন দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
Comments
Post a Comment