Skip to main content

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি দৃশ্যমান


মানবসম্পদ উন্নয়ন, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ অনেক পথ এগিয়েছে, মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি আরও মনে করেন যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি দৃশ্যমান।

‘শোকেস কোরিয়া-২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।  ২ দিনব্যাপী কোরিয়ায় উৎপাদিত পণ্য ও সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘শোকেস কোরিয়া-২০২৩’। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় এ মেলার আয়োজন করছে কোরিয়া- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি  ও কোরিয়া কমিউনিটি বাংলাদেশ। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সালমান এফ রহমান বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের বাণিজ্য আরও প্রসার ঘটবে। কোরিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। মানবসম্পদ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য কোরিয়া। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত জনবল রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য পূরণে কোরিয়াকে পাশে চায় সরকার। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোরিয়ান সংস্কৃতি ও খাবার তুলে ধরাই হবে এ মেলার মূল লক্ষ্য। মেলায় দেশটির ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সামগ্রী মেলায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া থাকছে কোরিয়ার মেশিনারিজ, টেক্সটাইল, অটোমোবাইলস, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, বিশ্বখ্যাত ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদনকারী কোম্পানি এলজি ও স্যামসাংসহ কোরিয়া উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের দিক থেকে কোরিয়া ষষ্ঠ বিনিয়োগকারী দেশ। বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ ডলার করে বাড়ছে। দু’দেশের সম্পর্কের জন্য এ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শোকেস কোরিয়ায় কোরিয়ান কোম্পানি, যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। আবার যারা বাংলাদেশি কোম্পানি আছে কোরিয়ার সঙ্গে কানেক্টেড, তারাও সেখানে অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার থেকে আগামী ৩রা মার্চ পর্যন্ত ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’ উদ্যাপন শুরু হয়েছে। কোরিয়ান কমিউনিটি এসোসিয়েশন, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) এবং কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটা) যৌথভাবে কোরিয়া সপ্তাহ- ২০২৩ আয়োজন করেছে।

Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid