রূপলাল হাউজ ফরাসগঞ্জে। ফরাশগঞ্জের অবস্থান পুরানো ঢাকায়। ইংরেজদের শাসনামলে ফরাশগঞ্জ ছিল অভিজাত এলাকা। এ জায়গার চরিত্র ছিল আধা আবাসিক আধা বাণিজ্যিক। বহু ধনাঢ্য ব্যক্তির বসবাস ছিল এ এলাকায়।বর্তমানে
ফরাশগঞ্জের অবস্থান পুরানো ঢাকায়। ইংরেজদের শাসনামলে ফরাশগঞ্জ ছিল অভিজাত
এলাকা। এ জায়গার চরিত্র ছিল আধা আবাসিক আধা বাণিজ্যিক। বহু ধনাঢ্য
ব্যক্তির বসবাস ছিল এ এলাকায়। মাথুরনাথ দাস, রূপলাল দাসের ঠাকুরদা, উনিশ শতকের ঢাকার একজন ব্যাবসায়ী
ছিলেন, তার দুই পুত্র স্বরূপ দাস এবং মধুসূদন দাস পরবর্তীকালে বিপুল
অর্থ-সম্পদের অধিকারী হয়ে ওঠে। এদের মধ্যে স্বরূপ দাসের ছিল তিন
পুত্র-রূপলাল দাস, রঘুনাথ দাস এবং সনাতন দাস। এই ভ্রাতারা এক সময়ে আলাদা
হয়ে গেলে রূপলাল দাস এবং রঘুনাথ দাস বুড়িগঙ্গার ধারে আলাদা বাড়ি
বানিয়েছিলেন। প্রথমে রঘুনাথের বাড়ি নির্মিত হয়েছিল, যা পরিচিত ছিল
‘রঘুবাবুর বাড়ি’নামে। এর ঠিক পাশেই ছিল রূপলাল দাসের ‘রূপলাল হাউজ’।
রূপলাল দাসের মূল বাড়িটি আরাতুন নামের একজন আর্মেনীয় ধনকুবের কাছ থেকে কিনে নেয়া। পুরাতন বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে মার্টিন কোম্পানীকে দিয়ে একই স্থানে গড়ে তোলেন এই বিশাল প্রাসাদটি। বুড়িগঙ্গার দিকে মুখ করে নির্মিত রূপলাল হাউজটির স্থাপত্যিক নকশা ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরের মত। দু’টি ব্লকে ভাগ করা দ্বোতালা এই প্রাসাদে প্রায় ৫০টিরও বেশি বিভিন্ন আকারের কক্ষ রয়েছে। যতদুর জানা যায় রূপলাল দাস একজন সঙ্গীত অনুরাগী ছিলেন। সামাজিক র্কমকান্ডে তার যতনা অংশগ্রহন থাকতো তার চেয়ে বেশী খরচ করতেন সঙ্গীতের পিছনে। সেই সময়ে রুপলাল হাউসে নিয়মিত সংগীতের আসর হতো। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান, ওস্তাদ ওয়ালী উল্লাহ খান এবং লক্ষী দেবী সহ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির্বগ রুপলাল হাউজে সংগীত আসরে নিয়মিত আসতেন।
এক সময়ে রূপলাল হাইজের সন্মুখ ভাগে বিশাল আকারের একটা ঘড়ি ছিল, ১৮৯৭ সালে গ্রেট এশিয়ান ভুমিকম্পে সেটি ভেঙ্গে যায়। ১৮৮৮ সালে লর্ড ডাফরিন যখন ঢাকা সফরে আসেন তখন তাঁর সন্মানে বল-নাচের আয়জন করার জন্য ইংরেজরা রূপলাল হাউজের হলঘরটি দু’দিনের জন্য দুশো টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন! সেই সময়ে শুধু মাত্র ঢাকার আহসান মঞ্জিল এবং রূপলাল হাউজেই বল নাচের উপযোগী বিশাল হলঘর ছিল! এই দুই প্রাসাদের কোনটায় বল-নাচ হবে সেটা নিয়ে একটা ভোটাভুটিও হয় এবং সেই ভোটে আহসান মঞ্জিলকে হারিয়ে দিয়েছিল রূপলাল হাউজ।
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি পরিকল্পিত এ ইমারতের সর্ব পশ্চিমাংশ উত্তর দিকে উদগত। এ উদগত অংশের সামনের দিকে একটি বারান্দা আছে। ফ্যাসাদে আছে ছয়টি করনিথীয় থামের একটি সারি। এদের ধড় শীরতোলা। অনুরুপ কার্নিস থামের আছে একটি বিরাট আকারের পডিয়াম। বারান্দা ব্যতীত ইমারতটির অপরটি দ্বিতল। মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে ইমারতের বিপরীত দিকে যাতায়াতের জন্য আছে একটি উম্মুক্ত অংশ। এ ফটকের অনতিদূরে পূর্বদিকে সম আকৃতির আরও একটি বারান্দা দেখা যায়। এ ইমারতের পূর্বাংশের প্রান্ত থেকে উদগত অংশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এ অংশ মূল নির্মাণ যুগের পরবর্তীকালের বলে অনুমান করা যায়। সমতল ছাদের কয়েকটি ছাদের কয়েকটি স্থানে তিনটি চিলেকোঠা আছে। এর দরজা ও জানালাগুলোতে কাঠের ভেনেসীয় গ্রিল সম্বলিত পাল্লা ব্যবহৃত হয়েছে। সিঁড়ির বেড়িতে লোহার অলঙ্করণ খচিত ফ্রেম আছে। খিলানের টিমপেনামে রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করনও লক্ষ্য করা যায়।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের সময় দাস পরিবার ঢাকা ছেড়ে চলে গেলে ১৯৫৮ সালে মোহম্মদ সিদ্দিক জামাল এবং তাঁর ছোট ভাই রূপলাল হাউজটি কিনে নিয়ে এর নতুন নাম করেন ‘জামাল হাউজ’। এক সময়ে সৌন্দর্য্যে, জাকজমকের দিক থেকে যে রূপলাল হাউজ আহসান মঞ্জিলের সাথে পাল্লা দিত, সেই সুরম্য আট্টালিকা আজ দখলদারদের বসত ভূমি।
রূপলাল দাসের মূল বাড়িটি আরাতুন নামের একজন আর্মেনীয় ধনকুবের কাছ থেকে কিনে নেয়া। পুরাতন বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে মার্টিন কোম্পানীকে দিয়ে একই স্থানে গড়ে তোলেন এই বিশাল প্রাসাদটি। বুড়িগঙ্গার দিকে মুখ করে নির্মিত রূপলাল হাউজটির স্থাপত্যিক নকশা ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরের মত। দু’টি ব্লকে ভাগ করা দ্বোতালা এই প্রাসাদে প্রায় ৫০টিরও বেশি বিভিন্ন আকারের কক্ষ রয়েছে। যতদুর জানা যায় রূপলাল দাস একজন সঙ্গীত অনুরাগী ছিলেন। সামাজিক র্কমকান্ডে তার যতনা অংশগ্রহন থাকতো তার চেয়ে বেশী খরচ করতেন সঙ্গীতের পিছনে। সেই সময়ে রুপলাল হাউসে নিয়মিত সংগীতের আসর হতো। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান, ওস্তাদ ওয়ালী উল্লাহ খান এবং লক্ষী দেবী সহ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির্বগ রুপলাল হাউজে সংগীত আসরে নিয়মিত আসতেন।
এক সময়ে রূপলাল হাইজের সন্মুখ ভাগে বিশাল আকারের একটা ঘড়ি ছিল, ১৮৯৭ সালে গ্রেট এশিয়ান ভুমিকম্পে সেটি ভেঙ্গে যায়। ১৮৮৮ সালে লর্ড ডাফরিন যখন ঢাকা সফরে আসেন তখন তাঁর সন্মানে বল-নাচের আয়জন করার জন্য ইংরেজরা রূপলাল হাউজের হলঘরটি দু’দিনের জন্য দুশো টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন! সেই সময়ে শুধু মাত্র ঢাকার আহসান মঞ্জিল এবং রূপলাল হাউজেই বল নাচের উপযোগী বিশাল হলঘর ছিল! এই দুই প্রাসাদের কোনটায় বল-নাচ হবে সেটা নিয়ে একটা ভোটাভুটিও হয় এবং সেই ভোটে আহসান মঞ্জিলকে হারিয়ে দিয়েছিল রূপলাল হাউজ।
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি পরিকল্পিত এ ইমারতের সর্ব পশ্চিমাংশ উত্তর দিকে উদগত। এ উদগত অংশের সামনের দিকে একটি বারান্দা আছে। ফ্যাসাদে আছে ছয়টি করনিথীয় থামের একটি সারি। এদের ধড় শীরতোলা। অনুরুপ কার্নিস থামের আছে একটি বিরাট আকারের পডিয়াম। বারান্দা ব্যতীত ইমারতটির অপরটি দ্বিতল। মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে ইমারতের বিপরীত দিকে যাতায়াতের জন্য আছে একটি উম্মুক্ত অংশ। এ ফটকের অনতিদূরে পূর্বদিকে সম আকৃতির আরও একটি বারান্দা দেখা যায়। এ ইমারতের পূর্বাংশের প্রান্ত থেকে উদগত অংশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এ অংশ মূল নির্মাণ যুগের পরবর্তীকালের বলে অনুমান করা যায়। সমতল ছাদের কয়েকটি ছাদের কয়েকটি স্থানে তিনটি চিলেকোঠা আছে। এর দরজা ও জানালাগুলোতে কাঠের ভেনেসীয় গ্রিল সম্বলিত পাল্লা ব্যবহৃত হয়েছে। সিঁড়ির বেড়িতে লোহার অলঙ্করণ খচিত ফ্রেম আছে। খিলানের টিমপেনামে রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করনও লক্ষ্য করা যায়।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের সময় দাস পরিবার ঢাকা ছেড়ে চলে গেলে ১৯৫৮ সালে মোহম্মদ সিদ্দিক জামাল এবং তাঁর ছোট ভাই রূপলাল হাউজটি কিনে নিয়ে এর নতুন নাম করেন ‘জামাল হাউজ’। এক সময়ে সৌন্দর্য্যে, জাকজমকের দিক থেকে যে রূপলাল হাউজ আহসান মঞ্জিলের সাথে পাল্লা দিত, সেই সুরম্য আট্টালিকা আজ দখলদারদের বসত ভূমি।
পূর্ব
পশ্চিমে লম্বালম্বি পরিকল্পিত এ ইমারতের সর্ব পশ্চিমাংশ উত্তর দিকে উদগত। এ
উদগত অংশের সামনের দিকে একটি বারান্দা আছে। ফ্যাসাদে আছে ছয়টি করনিথীয়
থামের একটি সারি। এদের ধড় শীরতোলা। অনুরুপ কার্নিস থামের আছে একটি বিরাট
আকারের পডিয়াম। বারান্দা ব্যতীত ইমারতটির অপরটি দ্বিতল। মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে
ইমারতের বিপরীত দিকে যাতায়াতের জন্য আছে একটি উম্মুক্ত অংশ। এ ফটকের
অনতিদূরে পূর্বদিকে সম আকৃতির আরও একটি বারান্দা দেখা যায়। এ ইমারতের
পূর্বাংশের প্রান্ত থেকে উদগত অংশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এ অংশ মূল
নির্মাণ যুগের পরবর্তীকালের বলে অনুমান করা যায়। সমতল ছাদের কয়েকটি ছাদের
কয়েকটি স্থানে তিনটি চিলেকোঠা আছে। এর দরজা ও জানালাগুলোতে কাঠের ভেনেসীয়
গ্রিল সম্বলিত পাল্লা ব্যবহৃত হয়েছে। সিঁড়ির বেড়িতে লোহার অলঙ্করণ খচিত
ফ্রেম আছে। খিলানের টিমপেনামে রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করনও লক্ষ্য করা যায়। -
See more at:
http://bdtravelnews.com/%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2/#sthash.yPMUZ5So.dpuf
পূর্ব
পশ্চিমে লম্বালম্বি পরিকল্পিত এ ইমারতের সর্ব পশ্চিমাংশ উত্তর দিকে উদগত। এ
উদগত অংশের সামনের দিকে একটি বারান্দা আছে। ফ্যাসাদে আছে ছয়টি করনিথীয়
থামের একটি সারি। এদের ধড় শীরতোলা। অনুরুপ কার্নিস থামের আছে একটি বিরাট
আকারের পডিয়াম। বারান্দা ব্যতীত ইমারতটির অপরটি দ্বিতল। মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে
ইমারতের বিপরীত দিকে যাতায়াতের জন্য আছে একটি উম্মুক্ত অংশ। এ ফটকের
অনতিদূরে পূর্বদিকে সম আকৃতির আরও একটি বারান্দা দেখা যায়। এ ইমারতের
পূর্বাংশের প্রান্ত থেকে উদগত অংশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এ অংশ মূল
নির্মাণ যুগের পরবর্তীকালের বলে অনুমান করা যায়। সমতল ছাদের কয়েকটি ছাদের
কয়েকটি স্থানে তিনটি চিলেকোঠা আছে। এর দরজা ও জানালাগুলোতে কাঠের ভেনেসীয়
গ্রিল সম্বলিত পাল্লা ব্যবহৃত হয়েছে। সিঁড়ির বেড়িতে লোহার অলঙ্করণ খচিত
ফ্রেম আছে। খিলানের টিমপেনামে রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করনও লক্ষ্য করা যায়। -
See more at:
http://bdtravelnews.com/%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2/#sthash.yPMUZ5So.dpuf
Comments
Post a Comment