দুর্যোগ যেকোন
সময়ে যেকোন স্থানে আঘাত হানতে পারে।এজন্য সবার প্রস্তুতি থাকাটা জরুরী।দুর্যোগের জন্য
কয়েকটি জিনিস মৌলিক চাহিদার পুরন করার জন্য প্রস্তুত রাখা উচিত।
১. পানি
আপনি যদি তিনতি
নিতীর কথা-অক্সিজেন ছাড়া তিন দিন, পানি ছাড়া তিন দিন, খাবার ছাড়া তিন সপ্তাহ-এই তিনটি
নীতির কথা যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তাহলে আপনি বুঝবেন পরিস্কার পানির কতটা গুরুত্ব।রান্না
করতে, পান করতে এবং সাধারন স্যানিটেশনের জন্য পানি অপরিহার্য।পরিস্কার বোতলে আপনি পানি
জমিয়ে রাখতে পারেন।যদি পর্যাপ্ত যায়গা থাকে তবে আপনি আরও বড় কোন কন্টেইনারের কথা ভাবতে
পারেন।পানি বিশুদ্ধ করার জন্য হাতের কাছে কিছুটা ব্লিচ রাখতে পারেন।আট ফোটা ব্লিচ এক
গ্যালোন পানি পরিশুদ্ধের জন্য যথেষ্ট।
২. সাময়িক বাসস্থান
দুর্যোগের কারনে
বাসস্থান ধ্বংশ হয়ে গেলে সাময়িক বাসস্থানের প্রয়োজন হয়।এরকম পরিস্থিতে সহজে বহনযোগ্য
ও স্থাপনযোগ্য সাময়িক বাসস্থান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে এবং বাড়ি পূনঃর্নিমাণ
না হওয়া পযর্ন্ত আশ্রয় প্রদান করে থাকে।
৩. খাবার যেগুলো
রান্না করার প্রয়োজন নেই
খাবার ছাড়া একটি
মানুষ তিন সপ্তাহ পযর্ন্ত বেচে থাকতে পারে।যখন দুর্যোগ আঘাত করে আপনি সেই খাবারগুলোই
চাইবেন যেগুলো রান্না করার প্রয়োজন হয়না।এক্ষেত্রে পিনাট বাটার, টুনা মাছ, সিডস্,
বাদাম, এমনকি মিলিটারিতে ব্যবহৃত MRE
(পূর্বে প্রস্তুতকৃত খাবার) সবচেয়ে ভাল পছন্দ হতে পারে।শুকনো ফলমুল, গ্রানোলা বারস্
এবং জার্কি সহজে রাখা যায় এবং অনেকদিন টিকে থাকে।
৪. জালানী ও আলো
আপনার অবশ্যই জ্বালানীর প্রয়োজন হবে।রান্নার জন্য, তাপের জন্য বা
গাড়ি চালানোর জ্বালানী প্রয়োজন।আপনি ৫ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জারে গ্যাসোলিন বা
প্রোপেন মজুত করে হাতের কাছে রাখতে পারেন।প্রোপেন নিরাপদ।যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি কিছু
কাঠ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মজুদ করে রাখতে পারেন।ফ্ল্যাশ লাইট, হারিকেন
বা পর্যাপ্ত ব্যাটারীসহ চার্জার লাইট রাখতে ভূলবেন না।মোমবাতিও রাখতে পারেন তবে তার
জন্য অবশ্যই দিয়াশলাই প্রয়োজন।
Comments
Post a Comment