Skip to main content

দাতব্য প্রতিষ্ঠান নির্ণয়ে প্রধান ৩ টি বিষয়

যদি আপনি অন্যের জন্য কিছু দান করতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় হল একটি সঠিক দাতব্য সংস্থা নির্বাচন করা। আপনাকে এমন একটি সংস্থা খুঁজে বের করতে হবে যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মহৎ এবং আপনার টাকাটাকে সঠিক পথে কাজে লাগাবে। নগদ টাকা বা পণ্য, আপনার অনুদানটি যেমনই হোক না কেন, এর একটি অংশ দান করা হবে এবং একটি অংশ প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করা হবে। যথাপোযুক্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান নির্ণয়ের কিছু নির্দেশনা নিচে দেয়া হল:

দাতব্য সংস্থাটি কতটা আইনসঙ্গত?
সব ধরনের নিবন্ধনকৃত অনুদান এর তালিকা রাজস্ব বোর্ডের সংগ্রহে থাকে। তাছাড়া অনুদান সংক্রান্ত অধিদপ্তরের কাছে প্রতিটি দাতব্য সংস্থার নাম নিবন্ধিত থাকে। এসব অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে আপনি অনায়েসেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। এভাবে আপনি জানতে পারবেন যে যেই সংস্থাটির সাথে আপনি চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন তা আইনসংগত কি না।

সংস্থাটি সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন:
প্রতিটি সংস্থারই উচিত তাদের কর্মসূচি এবং ব্যয়ের হিসাব জানানো। যদি আপনি টাকা বা পণ্য অনুদান হিসেবে দান করেন তবে তা কিভাবে ব্যয় হবে তা জানার চেষ্টা করুন। খোঁজ নিয়ে দেখুন যে গত বছর কতজন সংস্থাটিতে অনুদান দিয়েছেন এবং কোন প্রক্রিয়ায় দিয়েছেন। যদি আপনি আপনার প্রশ্নের সন্তোষজন উত্তর না পান তাহলে যে কোন ধরনের চুক্তি থেকে বিরত থাকেন।

খরচের পরিমাণ ধার্য করা:
যেই সংস্থাটির সাথে আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সেটি ভাল হতে পারে তবুও এর খরচের ব্যপারে লক্ষ্য রাখুন। যদি দেখেন যে আপনার অনুদানের টাকা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা আপনি যার মাধ্যমে এসেছেন তাদের বেতনাদি পরিশোধে খরচ হচ্ছে তবে নিশ্চিতভাবে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন। সাধারণত, একটি কার্যকর দাতব্য সংস্থা তার মোট অনুদানের নুন্যতম শতকরা ৬৫ ভাগ দানের মাধ্যমে খরচ করে। বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যপারে অনুদান খরচের শতকরা হার এর থেকেও কম হতে পারে। যেমন, সমকামী ও এর সমর্থনকারী বা গর্ভপাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ইত্যাদি বিভিন্ন আন্দোলনের জন্য অনুদান সংগ্রহ করা কষ্টকর। আপনার অনুদানটি দেয়ার আগে এসব বিষয়ে খরচ না করার কথা জানিয়ে দিতে হবে।

অনুদান করতে চাইলে ভাল একটি দাতব্য সংস্থা খুঁজে বের করা জরুরী। গৃহহীনকে ঘর দান করা, অনাহারীকে খাবার দেয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কাজই অনেক সংস্থা করে থাকে। কিন্তু তারা প্রয়োজনীয় অনুদান পায়না।

সমাজের পরিবর্তন আনে এমন কাজের জন্য অনুদান করুন। তাহলেই আপনার অনুদানটি স্বার্থক এবং প্রশংসিত হবে।

Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid