সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যাক্তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। আন্তজার্তিক পরিমন্ডলেও তার রয়েছে পরিচিতি। বেক্সিমকো গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। সাথে সাথে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এই শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝিতে পারিবারিক ব্যবসায়ে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তিনি ও তাঁর বড় ভাই সোহেল এফ রহমান মিলে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউরোপের বাজারে সামুদ্রিক খাবার এবং হাড়চূর্ণ রপ্তানি শুরু করেন। এসব পণ্য রপ্তানীর বিনিময়ে তাঁরা ইউরোপ থেকে মানসম্পন্ন ঔষধ আমদানি করতেন। বছরের পর বছর ধরে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বেক্সিমকো গ্রুপ ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতে অন্যতম সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি টেক্সটাইল, ঔষধশিল্প, সামুদ্রিক খাবার, আবাসন, কনস্ট্রাকশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সিরামিকস্, আর্থিক সেবা এবং জ্বালানী সহ বিবিধ খাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ-এর অল্টারনেটিভ ইনভেষ্টমেন্ট মার্কেট-এ তালিকাভুক্ত প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি । এছাড়াও বেক্সিমকো বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের সর্ববৃহৎ নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে। ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, সিরামিকস, সিনথেটিকস, জুট, রিয়েল অ্যাস্টেট, প্রোকৌশল, মেরিন ফুড, আইটি, অ্যাভিয়েশন, অ্যানার্জি, জ্বালানি, মিডিয়া, টিভি চ্যানেল, টেলিকমিউনিকেশন সহ বিভিন্ন খাতে ৩৯ টি পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানিসমূহ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।এসব কোম্পানির উৎপাদিত বিশ্বমানসম্পন্ন উচ্চমানের পন্য রপ্তানির মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে মর্যাদার অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এর মধ্যে দিয়ে দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন।
সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃঢ়ব্যক্তিত্বের অধিকারী সালমান এফ রহমান শুধুমাত্র বেক্সিমকো গ্রুপের বৃদ্ধি ও প্রসারই নিশ্চিত করেননি, একই সাথে তিনি সফল ভাবে বাংলাদেশের ব্যবসা খাতে উন্নয়ন এবং গতিশীলতা এনেছেন। স্বাধীনতার পরপর দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।সালমান এফ রহমান দেশের বেসরকারী খাতের প্রণোদনায় নিয়োজিত শীর্ষ বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারম্যান।তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’ এর বোর্ড অব এডিটর’স এর চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি ২৪ ঘন্টা সংবাদ-ভিত্তিক চ্যনেল ‘ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন’ এর চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল, সার্ক অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংস্থা ‘সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’, ব্যবসায়ীদের শীর্ষসংগঠন এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ-এর সভাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন।সালমান এফ রহমান “প্রয়াস” এর একজন পৃষ্ঠপোষক। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ শিশুদের উন্নয়ন ও সহায়তা নিয়ে কাজ করে। শিশুদের বিশেষায়িত শিক্ষা, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল পরীক্ষণ ও চিকিৎসা, বিনোদন, সহপাঠ্যক্রম সহ সামগ্রিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও প্রয়াস -শিক্ষক, শিশুদের বাবা-মা কেও প্রশিক্ষণ ও সমন্বিত সেবা প্রদান করে থাকে দেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতির পথে পরিচালনার জন্য একটি শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরির উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন সালমান এফ রহমান। বিনামূল্যে ঔষধ ও পোশাক বিতরণ তাঁর নিয়মিত দাতব্য কাজগুলির মধ্যে অন্যতম। দোহারের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তিনি ২৪০টিরও বেশি আর্সেনিক মুক্ত টিউব ওয়েল স্থাপন করেন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন যার মাধ্যমে ১৬ জন ডাক্তার নিয়মিতভাবে চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রদান করছেন।
Comments
Post a Comment