Skip to main content

বাংলাদেশের উৎপাদকরা পণ্যের দাম পাচ্ছেন না

তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতাদের চাপে অর্থ খরচ করে অনেক উদ্যোগ নিতে বাধ্য হলেও বাংলাদেশের উৎপাদকরা সেই তুলনায় পণ্যের দাম পাচ্ছেন না, এমনটা মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।


সম্প্রতি এক আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপস্থিতির সুযোগ আমি বলতে চাই, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের ভয়াবহ চাপ দেওয়া হয়েছে- ‘তোমার কাঠামোগত উন্নত কর, অগ্নিনিরাপত্তা উন্নত কর, শিশু শ্রমিক মুক্ত হও, এটা করো, সেটা কর। আমরা সবকিছু করছি। এসব করতে অনেক টাকা লাগে, অনেক বিনিয়োগ লাগে। কিন্তু ক্রেতারা এসে যখন দরদাম করে, তখন আমরা মূল্যটা পাই না। আপনাদের মান বজায় রাখতে যে সমস্ত কাজ আমাদের করতে হয়, যে পরিমাণ বিনিয়োগে আমরা বাধ্য হই, সেই বিবেচনায় আমরা প্রত্যাশা করি আপনাদের উচিত আমাদের পুরস্কৃত করা এবং অন্তত গ্রহণযোগ্য দামটা আমাদের দেওয়া।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নর্ডিক দেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ করে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন সালমান বলেন, “খুবই কম লাভের হার নিয়ে কাজ করছে পোশাক শিল্প এবং সেটা সঙ্কুচিত হয়েছে মহামারীর আগে-পরে। “নর্ডিক দেশের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে আমি এই সুযোগটা নিতে চাই যে, এটা আপনারা আপনাদের যেসব কোম্পানি ব্যবসা করতে আসে, তাদের বলতে পারেন, বিশেষ করে ন্যায্যমূল্যের বিষয়টি। এই মুহূর্তে দামের হার উৎপাদকদের জন্য খুব একটা ন্যায্য নয়।”

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসাবে বর্ণনা করে সালমান এফ রহমান বলেন, ইউরোপ যুদ্ধ করছে আর নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য কারণে পৃথিবীর অন্য সব দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  যুদ্ধের পর ইউরোপ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলছি এবং প্রতিশ্রুতির কথা বলছি। কিন্তু যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটের ফলে ইউরোপ সুবিধা বুঝে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা ভুলে গেছে এবং ফিরেছে কয়লা বিদ্যুতে ও অন্য অনেক ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশে নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এনসিসি) আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। ঢাকায় তিন নর্ডিক দেশ সুইডেন, নরওয়ে ও ডেনমার্ক দূতাবাসের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছিল অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক। সুইডিশ কোম্পানি এইচ অ্যান্ড এমসহ বিভিন্ন পোশাক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক খুচরা বিক্রেতা এইচ অ্যাণ্ড এম গ্রুপ, ইকিয়া, লিন্ডেক্স এবং সুইডেন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্ট কাউন্সিলের সমন্বয়ে গঠিত ‘সাসটেইনেবল ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মের’ পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।  ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্গ ফন লিন্ডে অনুষ্ঠানে বলেন, তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস হওয়ার কারণে বাংলাদেশকেও রিসাইক্লিংয়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

তৈরি পোশাকে মোট ব্যবহৃত কাপড়ের ৩৫-৪০ শতাংশ উৎপাদন পর্যায়ে আবর্জনা হয়ে যায়। বাকি অংশও ব্যবহারের পরে আবর্জনায় পরিণত হয়। সে কারণে এটাকে সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্যে রিসাইক্লিংয়ে নিয়ে আসতে হবে, বলে মনে করেন আলোচকরা।




Comments

Popular posts from this blog

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal

Shaik Hasina, Salauddin Kader, Nizami and Tofayal in the picture. Probably it was taken during a parliament session in the 1980s. 

শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানি

বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউস গুলো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, ভোক্তা শ্রেণী বাড়ছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির কথা উল্লেখ করা হলোঃ স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ আজ একটি  সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম। এটিই দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কিন্তু এর যাত্রা ১৯৫৮ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল। নাম।স্কয়ার গ্রুপ আজ  শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয় এটি একটি সংঘঠন যা গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে শক্তিশালী নেতৃত্বের অবস্থানে অধিষ্ঠিত এবং বিশ্ব ঔষধ শিল্পেও এখন এটি একটি সুপরিচিত বর্তমানে স্কয়ার প্রসাধন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, হাসপাতালসহ প্রায় সবখাতেই বিস্তৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখছে এই কোম্পানি।স্কয়ার গ্রপের গড় বার্ষিক টার্নওভার ২০০মার্কিন  ডলার। স্কয়ার গ্রুপের প্

Rangauti Resort, Moulobhibazar in Sylhet

Picture credit: Tanzeena Meher & Syed Fazlul Karim Mujahid